অভিমানী ভালোবাসা

প্রেম কাহানী তে কষ্ট থাকবে না সেটা কখনো হয়। আর সেটা আসল প্রেম কাহানী হোক আর গল্প কাহানী হোক । ভালোবাসা শুধু সুখের হয় না, দুখেরও হয়, তাই আমরা সেই দুঃখ কে ভুলাতে নিয়ে এসেছি কিছু সুখ আর দুঃখের কাহানী, অভিমানী ভালোবাসা।

Breaking

Saturday, February 10, 2018

February 10, 2018

একবার পড়ুন, চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না

একবার পড়ুন, চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না ...............................................................গতকাল, ৫ই ফেব্রুয়ারি সিলেটের আম্বরখানা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ২০১৮ সালের এসএসসি পরিক্ষা প্রতিদিনের মতো শুরু হয়েছে। ২০৬ নং হলে ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্নপত্র ও দেয়া হল। সবাই মনোযোগ দিয়ে লিখা শুরু করল। প্রায় ১ঘন্টা শেষ। হঠাৎ করে পরীক্ষার হল থেকে করুন কান্নার শব্দ আসল। কান্নার কারন খুজতে গিয়ে ডিউটিরত ম্যাডাম দেখলেন উনার একদম পাশেই বসে সাদিয়া আক্তার মন্নি নামের মেয়েটি কান্না করছে। কান্নার কারন জানতে চাইলেন ম্যাডাম, কিন্তু মেয়েটি কোন ভাবেই বলতে পারল না তার কান্নার কারন। অনেকক্ষন পর মেয়েটি বলে উঠল ম্যাডাম আমি কোনো কিছুই লিখার খুজে পাচ্ছি না। ম্যাডাম মেয়েটিকে আবারও কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে মেয়েটির কান্নার আওয়াজ আরও বেড়ে গেল এবং পরক্ষনে মেয়েটি বলে উঠে... "ম্যাডাম, গতকাল রাত আমার মমতাময়ী মা দুনিয়া ছেড়ে মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন"। আজ মমতাময়ী মা'এর লাশ দাফন না করেই পরীক্ষা দিতে এসেছি। আমি আজ আসতে চাইনি, কিন্ত বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের ও পরিবারের শান্তনামূলক পরামর্শের কারনেই আমাকে পরিক্ষায় আসতে হয়েছে। কিন্তু আমি কি লিখব ম্যাডাম? -সারা হল রুম ক্ষনিকের জন্য নিস্তব্দ হয়ে গেল। ওর সহপাঠীরা সবাই স্তব্ধ হয়ে গেছে। কাহিনী শুনে আমারও লিখতে গিয়ে বার বার হাত কেঁপে উঠছে। "বেচে থাকুক সবার মা ও বাবা" আল্লাহ পাক যেন প্রিয় বোনটির মমতাময়ী মা'কে বেহেস্তে নসিব করেন এবং পরিবারের সকলকে শোক কাটিয়ে উঠার তাওফিক দান করেন । আমিন। ( Collected)

Friday, February 9, 2018

February 09, 2018

বাবা মাকে নিয়ে লেখা একটি সত্য যটনা।

আব্বা আমার টাকা লাগবে,
কত টাকা?
৫০০০ হাজার টাকা।
কি করবি এত টাকা দিয়ে?
ঈদের শপিং করবো।
আব্বা আমার কথা শুনে আর কিছু না বলে,আমার হাতে ৫০০০টাকা তুলে দিলো।
টাকা গুলি পেয়ে তো আমার আনন্দের সিমা নেই।
এবার মন খুলে শপিং করতে পারবো।
খুশিতে লুঙ্গি ড্যান্স দিলাম।
তারপর টাকা গুলো লুকিয়ে রেখে চলে আসলাম বন্ধুদের আড্ডাতে।
সবাইকে তো বলতে হবে,এবার এর ঈদের বাজেট টা।
সবার থেকে এবার আমার ঈদের বাজেট বেশি,
বন্ধুরাও সবাই বাহবা দিলো।
সন্ধার আগে বাসায় ফিরলাম,ইফতার করে নামাজ পড়ে আর বাইরে বার হলাম না।
শুয়ে শুয়ে ফেসবুকিং করছিলাম।
এমন সময় পাশের রুমে থেকে বাবা মা এর চাপা কন্ঠ ভেসে আসলো কানে।
<ওগো শুনছো?
<হ্যা বলো।
তুমি আকাশকে সব টাকা দিয়ে দিলে তো তুমি কি শপিং করবা আর ঈদের বাজার ও তো করতে হবে,কিছুই তো করা হয় নি।
৫০০০ টাকাই ছিলো।
ছেলের কথাই সেটাও বার করে দিলে।
<চিন্তা করো না,কারো কাছ থেকে ধার করে নিবো টাকা,আর আকাশ তো এখন কলেজে উঠেছে বড় লোক ছেলেদের সাথে তাকে মিশতে হয়।
তাদের মতন না হলে চলে।
<তাই বলে সব টাকা দিয়ে দিবা,এখন যদি টাকা না পাও তাহলে কি ঈদ এ চুল বন্ধ করে রাখবো।
<তুমি অযথা চিন্তা করছো,কিছু একটা ঠিক ম্যানেজ করে নিবো,আর আমাদের তো সব কিছুই আকাশের জন্য।
তো আকাশকে  ছাড়া কাকে দিবো বলো।
আর আকাশ তো আমাদেরই ছেলে,বড় হয়ে দেখবা আমাদের কষ্টটাকে ঠিকই মুছে দিবে।
আব্বার মুখে কথা গুলো শুনে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেললাম।


বাবা মাকে নিয়ে লেখা একটি সত্য যটনা।
আমি সেই আকাশ 


নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছে এখন।
শুধু নিজের ভালোর জন্য,বাবা মাকে এতটা কষ্ট দেয় আমি।
যে বাবা মা আমাকে আমাকে এত ভালোবাসে তাদের কে আমি এতদিন অবহেলা করে এসেছি,শুধু নিজের দিকটাই ভেবে এসেছি।
ইচ্ছে করছে এখনই বাবা কে জড়িয়ে ধরে একটু কাঁদি কিন্তু বড় হয়ে গেছি,তাই কাঁদতেও পারছি না।
সেদিন রাতটা কোনো রকমে কাটালাম।
পরদিন সকাল হওয়ার সাথে সাথে,বেরিয়ে পড়লাম কাজের সন্ধ্যানে।
পরিকল্পনা এবার আমি আমার উপার্জনের টাকা দিয়ে আব্বা মাকে কাপড় কিনে দিবো।
আর ঈদের যাবতীয় খরচাবলি ও আমি নিবো।
রোজাই ছিলাম তাই মা খাওয়ার জন্য চিন্তা করতো না,রোজ সকালে বার হতাম আর বিকেলে ফিরতাম
বাড়ি ফিরলে মা একটু বকা দিতো
কিন্তু আমি কিছু বলতাম না।
কারন তখন আমি দিন মজুরি খাটতাম।
শুধু বাবা মায়ের জন্য।
টানা পনেরো দিন মজুরি খাটলাম।
রাতে শুয়ে আছি,
এমন সময় মা আসলো।
<আকাশ তুই কাপড় কেনার জন্য টাকা নিলি কিন্তু কাপড় কিনলি না তো <কিনবো মা এখনো তো ৪দিন সময় আছে।
<কোই সময় আছে ঈদ তো চলেই আসলো।
<মা, তুমি আর বাবা কি কনলে দেখালে না তো
<আমরা আর কিনে কি করবো বল বাবা,তুই কিনলেই আমাদের হবে।
আচ্ছা ঘুমা অনেক রাত হয়ে গেছে
বলেই মা চলে গেলো।
মা তোমরা সত্যিই খুব স্বার্থপর,তবে সেটা নিজের ক্ষেত্রে না।
আমাকে উজাড় করে দিতে।
ঈদের আর মাত্র ৪দিন বাকি,
দেখলাম ঈদের কাচা বাজার ও কিছু কেনা হয় নি তাই মাকে বলে সকাল সকাল বার হয়ে গেলাম
আমার মজুরির টাকা ৪০০০ আর বাবার দেওয়া ৫০০০ টাকা নিয়ে।
১ম এ মায়ের জন্য একটা সুন্দর দেখে শাড়ি কিনলাম,বাবার জন্য লুঙ্গি- পান্জাবি আর তারপরে আমার জন্য একটা পান্জাবি আর প্যান্ট।
এছাড়াও ঈদের টুকিটাকি বাজার করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে আসলো বুঝতেই পারলাম না।
তাড়াতাড়ি বাসার দিকে রওনা হলাম।
মা আমার হাতে এতগুলো ব্যাগ দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
<আকাশ তুই কোথায় গেছিলি
<সব বলবো আগে ঘরে চলো,আব্বা কোই?
<ঘরেই আছে।
<চলো তাহলে
<কি তোর ব্যাগে
<আছে কিছু আগে চলো তো।বাবা মাকে বসালাম এবার ব্যাগ থেকে ১ম এ শাড়ি টা বার করে মা এর গায়ে ঠেকিয়ে বললাম
মা দেখো তো কেমন লাগছে,খুব সুন্দর মানাবে তোমাকে।
বাবা তোমার জন্যও আছে লুঙ্গি আর পান্জাবি।
<আকাশ এসব কোথায় পেলি?
<মা তুমি না,শুধু প্রশ্ন করো।
আগে বলো কেমন হয়েছে,কোনোদিন তো তোমাদের জন্য কিনি নাই।
খারাপ হলেও কিছু করার নাই।
এসব মুখ বুজে বাবা দেখছিলো।এবার বললো
<আকাশ এসব কোথায় থেকে আনলি এত কাপড় ঈদের বাজার টাকা কোথায় পেলি তুই।
<আব্বা,তুমি রাগ করবা না তো।
<না বল
<আমি ১৫ দিন মানিক আংকেলের সাথে দিন মজুরেরে কাজ করেছিলাম,তার থেকে ৪০০০ টাকা পেয়েছি
আর তাই দিয়ে তোমাদের জন্য সামান্য কিছু কিনে এনেছি।
কথা গুলো শুনে বাবা রেগে গেলো।
আমাকে একটা থাপ্পড় ও মারলো,
খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না,কে বলেছে তোকে রোজা মুখে কাজ করতে আমি কি মরে গেছি,তুই কাজ করবি।
জীবনে অনেক সময় পাবি তখন কাজ করিস এখন যদি আর কোনোদিন কাজ করিস তাহলে তখন আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না দেখে নিস।
বলেই আব্বা রাগ করে চলে গেলো।
ভেবেছিলাম আব্বা অনেক খুশি হবে কিন্তু আব্বা তো রেগে গেলো।
মাও কোনো কথা না বলে চলে গেলো।
সব কিছু অগছালো অবস্থাতেই পড়ে রইলো।
এশার নামাজ শেষ করে মন খারাপ করে শুয়ে আছি,
এমন সময় আব্বা আসলো।
<আকাশ খেয়েছিস?
<খাবো না ক্ষুধা নেই
<আই খেতে আই
<আব্বাকে খুব ভয় পাই তাই বেশি কিছু না বলে চলে আসলাম।কিছু না বলে মুখ বুজে খাবার খেয়ে আবার চলে আসলাম।
রাত প্রায় ১১ টা বাজে,
দেখি আব্বা মা দুজনেই রুমে আসলো।
<কিরে আমার লুঙ্গি আর পান্জাবি দিবি না।
<তাড়াতাড়ি করে উঠে ব্যাগ থেকে বার করে বাবার হাতে দিলাম।
দেখি আব্বা কাদছে।
<আব্বা আমি কি ভুল কিছু করে ফেলেছি।
< না রে বাবা তুই ভুল কিছু করিস নি,আজকে সত্যি আমার নিজেকে একজন বাবা হিসাবে গর্ভবোধ হচ্ছে।
যে আমি তোর মতন একটা ছেলের বাবা।
আজকে আমি অনেক খু্শি, যে আমার ছেলে ১ম রোজকারের টাকা দিয়ে আমাদের জন্য ঈদের কাপড় কিনে এনেছে।
তুই তখন বলেছিলিস না,যে পছন্দ হয়ছে কিনা,
এগুলোর থেকে সারাবাজার ধরে খুজলেও আর পছন্দের কিছু পাবি না।
এগুলো আমার কাছে অনেক দামি রে।
অনেক যত্ন করে রেখে দিবো।
কারন এগুলো যে আমার ছেলের ১ম রোজকারের টাকায় কেনা।
বলেই বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
জীবনে ১ম বুদ্ধি হওয়ার পর আমি বাবার বুকে মাথা দিলাম।
খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো যে আমি আজকে দুনিয়ার সব থেকে বড় সুখি মানুষ।
সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম,
আসলে বাবা মা কি জিনিস।
এদের কে খুশি করতে দামি কিছু লাগে না।
এরা অল্পতেই খুশি যদি সেটা দেওয়া হয় ভালোবাসার সংস্পর্শ দিয়ে।
সুখে থাকুক.
...★#বিঃদ্রঃ- পোষ্টটি কেমন লাগল?
আপনার মূল্যবান লাইক ও কমেন্ট দিয়ে জানাতে ভুলবেন না।
পোস্ট ভাল লাগলে #শেয়ার_করবেন

Thursday, February 8, 2018

February 08, 2018

সামনে আসছে ভালবাসা দিবস।তাই না লিখে পারলাম না।

সামনে আসছে ভালবাসা দিবস।তাই না লিখে পারলাম না।আগেই সবার কাছে ক্ষমা,,, চেয়ে নিলাম,,,, পোস্ট টি করার জন্য,,, বাস্তব তুলে,, ধরলাম,,, কেউ খারাপ চোখে দেখবেন না,, আশা করি সবাই পড়বেন,, এবং সবার মতামত জানাবেন
#মেয়েরা_____বড়ই____অবলা!!
.
আজকাল অনেক ছেলে মেয়েদের মাঝে ভালোবাসা মানে সেক্স!!

২/৩ মাসের সর্ম্পকের পরই নাকি এটা প্রয়োজন হয়ে দাড়ায়!! কিছু মাস বা ১/২ বছর পর এমন এক পরিস্থিতি দাড়ায়,, এক জিনিস কয়দিন ভালো লাগে??? নতুন স্বাদের আশায় ভিন্ন মানুষ!!
.
কিন্তু এটা চরম সত্য যে,, ৯৪% ছেলেই কোন স্বার্থ ছাড়া শারীরিক সর্ম্পকের পর কোন মেয়েকে তার ঘরের বউ হিসেবে মেনে নিতে চায়না !! ( আমি একজন ছেলে হয়েও সত্যি টা আজ উপস্থাপন করলাম।)
.
#মেয়েদের_বলছিঃ আধুনিক যুগে মন দিয়েছো বুঝলাম,, একবার ভেবে দেখো তোমাকে বিয়ে করতে একটা ছেলের চাকরি জোগাড়, পরিবারকে রাজি করানো, মোহরানা, বিয়ের খরচ ইত্যাদি কত ঝামেলা আর টাকার ব্যাপার,, এর পর সে তোমাকে পাবে,

এখন তুমি যদি তার আগেই তাকে সব দিয়ে দাও আর এত ঝামেলা করতে কি তার মন চাইবে??? বিয়ে না করে ২টা মিষ্টি কথায় সব হলে পাগলেও বিয়ে করবে না তোমাকে!!
↓↓
★ বোন গো,, নিজেকে সস্তা করো না!! বোন,, তুমি নিজেও জানোনা যে, তুমি তোমার মা-বাবার কত দামী আর কত কষ্টের অর্জিত মূল্যবান সম্পদ!!
!!
!!
#ছেলেদের_বলছিঃ যে মেয়েটার ক্ষতি করছো,, !! একবার ভাবো, তোমার আদরের লক্ষি বোনটাকে যে কিনা আজ আবদার ধরেছে ভাইয়া আমার জন্য চটপটি আনিস,, আর তুমিও তাকে অনেক ভালোবাস!!

অনেক কষ্ট করে খুজে একটি ভাল পাত্র জোগার করলে তাকে সুখি দেখতে চাও!! এখন সে এসে বললো ভাইয়া নেটে আমার ভিডিও আসছে!!
★ও ভাই,, কেমন লাগবে তোমার ভিতরটায়???
(( তাই বলি, আসো সময় থাকতে সাবধান হই!! আসো আমরা একটু ভাবি!! আসো আমরাই শুরু করি,, একদিন সমাজটাই পাল্টে যাবে!!))